স্মার্ট কার্ড কী কী কাজে লাগে দেখে নিন...


স্মার্ট কার্ড


 বহু প্রতীক্ষিত উন্নত মানের জাতীয় পরিচয়পত্র নাগরিকদের মধ্যে  বিতরণের কাজ চলছে।


 দেখে নিন যেসব সেবার ক্ষেত্রে লাগবে স্মার্ট কার্ড: 


জাতীয় পরিচয়পত্র কাজে লাগবে মোট ২২ ধরনের সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে ।


১) আয়করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর পাওয়া,

২) শেয়ার আবেদন ও বিও হিসাব খোলা,

৩) ড্রাইভিং লাইসেন্স করা ও নবায়ন,

৪) ট্রেড লাইসেন্স করা, 

৫)পাসপোর্ট করা ও নবায়ন, 

৬)যানবাহন রেজিস্ট্রেশন,

৭) চাকরির আবেদন, 

৮)বিমা স্কিমে অংশগ্রহণ, 

৯)স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়, 

১০)বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রেশন, 

১১)ব্যাংক হিসাব খোলা, 

১২)নির্বাচনে ভোটার শনাক্তকরণ,

১৩) ব্যাংকঋণ, 

১৪)গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের সংযোগ, 

১৫)সরকারি বিভিন্ন ভাতা উত্তোলন,

১৬) টেলিফোন ও মোবাইলের সংযোগ,

১৭) সরকারি ভর্তুকি, 

১৮)সাহায্য ও সহায়তা, 

১৯)ই-টিকেটিং, 

২০)শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, 

২১)আসামি ও অপরাধী শনাক্তকরণ, 

২২)বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর পাওয়া ও সিকিউরড ওয়েব লগে ইন করার ক্ষেত্রে 


এই ২২ কাজে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর লাগবে। তবে জাতীয় পরিচয়ের নম্বর আইনগতভাবে সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে  এখনো বাধ্যতামূলক করা হয়নি।


যেকোনো ব্যক্তি ফ্রিতে ১০৫ নম্বরে কল করে তাঁর স্মার্ট কার্ড বিতরণসংক্রান্ত খবর জানতে পারবে।


 ব্যক্তির নাম (বাংলা ও ইংরেজি), মাতার ও পিতার নাম, জন্মতারিখ ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন নম্বর স্মার্ট কার্ডে দৃশ্যমান হয়ে থাকবে। 

স্মার্ট কার্ডের পেছনে  ব্যক্তির ভোটার এলাকার ঠিকানা, রক্তের গ্রুপ ও জন্মস্থান থাকবে । সর্বমোট ৩২ ধরনের তথ্য  স্মার্ট কার্ডের মধ্যে থাকা চিপ বা তথ্যভান্ডারে  থাকবে, যা মেশিনে পাঠযোগ্য হবে।


 জাতীয় পরিচয়পত্রের  স্মার্ট  কার্ডের সাথে কাগজের তৈরি ল্যামিনেট করা কার্ডের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য আছে। মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হবে প্লাস্টিকের (পলিমার দিয়ে) তৈরি কার্ডটি । ১০ বছর মেয়াদ হবে কার্ডটির  । নারীদের  কার্ডে স্বামীর নাম  ছিল। বাবার নাম ছিল না। অন্যদিকে পুরুষের কার্ডে উল্লেখ ছিল না স্ত্রীর নাম । একে বলা হচ্ছিল বৈষম্যমূলক বলে ।

কিন্তু এবার স্বামীর নাম দৃশ্যমান থাকবে না নারীদের স্মার্ট কার্ডে । সেখানে স্বামীর জায়গায় পিতার নাম থাকবে।

কার্ডের তথ্যভান্ডারে ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, পেশা, জন্মনিবন্ধন নম্বর, লিঙ্গ,, বয়স, বৈবাহিক অবস্থা,  শিক্ষাগত যোগ্যতা, দৃশ্যমান শনাক্তকরণ চিহ্ন, , টেলিফোন ও মোবাইল নম্বর, মা-বাবা ও স্বামী বা স্ত্রীর পরিচয়পত্র নম্বর, মা-বাবা বা স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুসংক্রান্ত তথ্য, ধর্ম, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, আয়কর সনদ নম্বর, অসমর্থ বা প্রতিবন্ধীর তথ্য ইত্যাদি স্থান পেয়েছে। তাছাড়া স্মার্ট কার্ডের ডিজাইনে জাতীয় পাখি দোয়েল, বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা, , বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন ও বর্তমান জাতীয় পতাকা, জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও চা-পাতা, জাতীয় সংগীত ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

২০১১ সালে ৮০০ কোটি টাকা বিশ্ব  ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে  দেশের ৯ কোটি ভোটারকে স্মার্ট কার্ড দেওয়ার এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয় ।


নিরাপত্তা-বৈশিষ্ট্য: 

৩ স্তরে মোট ২৫টি নিরাপত্তা-বৈশিষ্ট্য সংযোজিত রয়েছে স্মার্ট কার্ডে । খালি চোখে দৃশ্যমান হবে প্রথম স্তরের বৈশিষ্ট্যগুলো । আর যন্ত্রের প্রয়োজন হবে দ্বিতীয় স্তরের নিরাপত্তা-বৈশিষ্ট্যগুলো দেখার জন্য ।এবং ল্যাবরেটরিতে ফরেনসিক টেস্টের প্রয়োজন হবে তৃতীয় স্তরের নিরাপত্তা-বৈশিষ্ট্য দেখতে । কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির পরিচয়পত্রের তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে ।






স্মার্ট কার্ড সংগ্রহের নিয়ম:


ব্যক্তিকে বিদ্যমান কাগজের তৈরি কার্ডটি জমা দিতে হবে স্মার্ট কার্ড সংগ্রহের সময় । কার্ড নেওয়ার সময় ব্যক্তির চোখের আইরিশ স্ক্যান ও  ১০ আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ